ডেসটিনির জব্দকৃত সম্পদের পরিমাণ ৭৮৬ কোটি টাকা

প্রকাশঃ জুলাই ৩১, ২০১৭ সময়ঃ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক জব্দকৃত ডেসটিনির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হচ্ছে ৭৮৬ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৯৩ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ হচ্ছে ১৫৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯২ দশমিক ৯৩ টাকা। এছাড়াও রয়েছে ১১২টি গাড়ি।

আদালতের আদেশে জব্দকৃত স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির এই হিসাব রোববার আদালতে দাখিল করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

প্রধান বিচারপতির সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চে দাখিল ডেসটিনির এই সম্পদ বিবরণী দাখিল করার পর মামলার শুনানি আগামী ৩ আগস্ট বৃহস্পতবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। ওইদিন পরবর্তী শুনানির তারিখ রয়েছে।

এর আগে ১৬ জুলাই ডেসটিনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ জানতে চেয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এছাড়া দুদককে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ডেসটিনির জব্দকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। নির্ধারিত দিনে অনুযায়ী দুদক হিসাবের নথিপত্র জমা দেয়।

গত ১০ জুলাই এক আদেশে ডেসটিনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কতো টাকা জমা আছে, তার প্রতিবেদন (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) ১৬ জুলাই মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

১৬ জুলাই রোববার ডেসটিনির আইনজীবী জানান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হিসাব বিবরণী দেয়নি। এরপর আদালত দুদকের কাছে ডেসটিনির সম্পদের হিসেব জানতে চান।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দু’টি মামলা দায়ের করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাত করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দু’টি করা হয়।

বর্তমানে এ মামলায় রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন দু’জনই কারাগারে রয়েছেন।২০১৬ সালের ২০ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির একপর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেওয়ার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

সে অনুসারে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসনিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গাছ বিক্রি করে টাকা দেওয়া হবে। ওইদিন হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয়, তাদের ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা। আগামী দিনের শুনানির নির্ধারিত তারিখে ডেসটিনির কর্ণধারের জামিনের বিষয়ে নির্ধারণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না বলেও জানান দুদকের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

তিনি জানান, যেহেতু মামলাটি বিচারধীন, সেহেতু এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না।

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G